ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করল: বাংলাদেশের তৃতীয়‑দেশমুখী রফতানি বড় ঝুঁকিতে
পোশাক শিল্পের চাপ ও লজিস্টিক যানজটের অজুহাতে ভারত ২০২০‑এর ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করেছে, যার প্রভাবে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের বাণিজ্যব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে।

Follow us on Google news | https://news.google.com/s/CBIwgfi7sp8B?sceid=IN:bn&sceid=IN:bn&r=11&oc=1">Follow |
---|---|
Follow us on Facebook | Follow |
Join our WhatsApp Channel | Join |
Follow us on X | Follow |
ভারত হঠাৎ করেই বাংলাদেশের তৃতীয়‑দেশমুখী রফতানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে।
এতে বাংলাদেশের পণ্য আর ভারতীয় স্থলবন্দর বা বিমানবন্দর হয়ে নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারসহ অন্য দেশে যেতে পারবে না। সিদ্ধান্তটি ভারতীয় পোশাক রফতানিকারীদের চাপের ফল; তারা যানজট ও বাড়তি বিমাল ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছিল। এতে ভারতীয় শিল্প লাভবান হলেও বাংলাদেশের রফতানি ও ল্যান্ডলকড দেশগুলোর সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও কার্যকারিতা
৮ এপ্রিলের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ জুন ২০২০‑এর আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হলো। ইতিমধ্যে ভারতের ভেতরে থাকা কার্গো আগের নিয়মেই গন্তব্য ত্যাগ করতে পারবে, কিন্তু নতুন চালানগুলো আর ভারতীয় পথ ব্যবহার করতে পারবে না।
কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল সুবিধা
২০২০‑এর জুনে ভারত প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে এই ট্রান্সশিপমেন্ট অনুমতি দেয়। লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের পণ্য দ্রুত ভুটান‑নেপাল‑মিয়ানমারে পাঠিয়ে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানো। গত চার বছরে এ রুটের মাধ্যমে কয়েক হাজার টন কার্গো গিয়েছে।
ভারতীয় শিল্প‑চাপ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
ভারতীয় পোশাক রফতানিকারীরা দাবি করেছিল, বাংলাদেশি ট্রান্সশিপমেন্ট কার্গো স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি করছে, ফলে তাদের শিপমেন্টে দেরি ও খরচ বেড়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের উত্তর‑পূর্ব ভারত সফরের মন্তব্যও রাজনৈতিক পটভূমি জটিল করেছে।
সম্ভাব্য প্রভাব
বাংলাদেশের রফতানি ব্যয় বৃদ্ধি: বিকল্প সমুদ্র বা আকাশপথ নিতে হবে, যার খরচ বেশি এবং সরবরাহ সময় দীর্ঘ।
নেপাল‑ভুটান সরবরাহ ঝুঁকি: স্থলবেস্টিত দেশগুলোর আমদানি‑রফতানি দেরি ও খরচ বাড়বে, ব্যবসায়ীরা নতুন রুট খুঁজতে বাধ্য হবে।
ভারতীয় শিল্পের লাভ: স্থানীয় রফতানিকারীদের জন্য যানজট কমবে, লজিস্টিক সময় কমে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
ভবিষ্যৎ করণীয়
বাংলাদেশ সম্ভাব্য বিকল্প করিডর—চট্টগ্রা‑সিতওয়ে সমুদ্র রুট বা সরাসরি বিমানপথ—বিশ্লেষণ করছে। একই সঙ্গে নেপাল‑ভুটান কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে সুবিধা পুনর্বহালের চেষ্টা করতে পারে। আঞ্চলিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে নতুন দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।