Site icon sangbadindia

পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক: রিলায়েন্স‑এর বড় সিদ্ধান্তে #BoycottTurkey

Follow us on Google news Follow
Follow us on Facebook Follow
 Join our WhatsApp Channel  Join
Follow us on X Follow

অপারেশন সিঁদুরের (১৪–১৫ মে ২০২৫) পরে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দেয় তুরস্ক ও আজারবাইজান। ফলস্বরূপ ‘‘বয়কট তুর্কি’’ (#BoycottTurkey) আন্দোলন সোশ্যাল মিডিয়ায় জোড়ালো হয়ে ওঠে। এই জাতীয়তাবাদী আবহে ভারতীয় রিটেল জায়ান্ট রিলায়েন্স এবং ফ্লিপকার্ট‑মালিকানাধীন মাইনত্রা তুর্কি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পণ্য সরিয়ে ফেলে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ফাস্ট‑ফ্যাশন বাজারে।

কর্পোরেট জায়ান্টদের পদক্ষেপ

মাইনত্রা তুর্কি পোশাক ব্র্যান্ড যেমন ট্রেন্ডিওল, ডিফ্যাক্টো সাময়িকভাবে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অনুরূপভাবে, রিলায়েন্স‑এর এ‑জিও প্ল্যাটফর্মে এলসি ওয়াইকিকি, কোটন, মাভি‑র মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এখন ‘আউট অফ স্টক’ দেখাচ্ছে। রিলায়েন্স জানিয়েছে, তারা বহু আগেই তুরস্ক‑ভিত্তিক লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ করেছে এবং কিয়াভানক টেক্সটাইলের সঙ্গে পরিত্যক্ত অংশীদারিত্ব পুনরুজ্জীবনের কোনও পরিকল্পনা নেই।

সরবরাহ শৃঙ্খলে কী প্রভাব পড়বে

ভারতে চীনের পর দ্রুত বেড়ে উঠছিল তুর্কি তৈরি ফ্যাশন পণ্যের আমদানি। জাতীয়‑তাত্ত্বিক আবেগের কারণে হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞা গ্রীষ্ম‑বর্ষা কালেকশন‑এ ঘাটতি তৈরি করতে পারে, যা ই‑কমার্স সাইট ও অফলাইন রিটেলারের বিক্রিতে ছাপ ফেলবে।

 

Boycott Turkey campaign india

সরকারী অবস্থান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। পুরোটাই কর্পোরেট এবং ভোক্তাচালিত উদ্যোগ। তবে জনমত ও বাণিজ্য‑লবির চাপ বাড়লে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অ-শুল্ক বাধা আরোপ করতে পারে। অন্যদিকে, যদি তুরস্ক তাদের কূটনৈতিক অবস্থান নরম করে, তবে এই নিষেধাজ্ঞা আস্তে‑আস্তে শিথিল হতে পারে।

পাকিস্তানের সমর্থনে দেওয়া এক বিবৃতি তুরস্ককে ভারতীয় বাজারে বড় মূল্য দিতে বাধ্য করেছে। ‘বয়কট তুর্কি’ ট্রেন্ডে ভর করে রিলায়েন্স ও মাইনত্রার সাম্প্রতিক পদক্ষেপ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভারতীয় ভোক্তা‑মানসিকতা এখন জিও‑রাজনীতির ছায়ায় প্রবলভাবে প্রভাবিত। পরের পদক্ষেপে নজর থাকবে অ্যামাজন ইন্ডিয়া এবং সরকারি নীতির দিকে, যা এই বয়কটকে দীর্ঘস্থায়ী অথবা ক্ষণস্থায়ী—দুটিতেই পরিণত করতে পারে।

Exit mobile version